গর্ভপাতের বড়ি সম্পর্কে বারংবার যে প্রশ্ন করা হয়

বিভিন্ন রকমের গর্ভপাতের বড়ি এবং সেগুলির ব্যবহার

    না, একই সংখ্যক বড়ি নিতে হবে যা আমরা সকলকে সুপারিশ করে থাকি। গবেষণায় দেখা গেছে যে ওষুধের দ্বারা সাফল্য বেশি ভারী ওজনের বা বড়োসড়ো মহিলার ক্ষেত্রে কমে যায় না। আপনার অন্য ডোজ্‌ বা বেশি সংখ্যক বড়ি নেওয়ার দরকার নেই।

    আপনাকে ডোজ্‌ বা বড়ির সংখ্যা বদলানোর দরকার দরকার নেই যদি দেখেন যে আপনার গর্ভে যমজ রয়েছে। একই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে গর্ভে যমজ থাকলেও।

    না, প্রত্যেক বারেই গর্ভধারণ এক আলাদা ঘটনা। যদি আপনি আগে কখনো গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করে থাকেন তাহলেও অবাঞ্ছিত গর্ভ নিষ্কাশনের জন্যে আপনাকে কোনো বেশী ডোজের ওষুধ নিতে হবে না।

    যদি আপনার জরায়ুতে কোনো ইন্ট্রাইউটেরিন গর্ভনিরোধক যন্ত্র থাকে(যেমন প্রোজেস্টেরোন আইইউডি পাত), তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেটি ডাক্তারি পদ্ধতিতে গর্ভপাতের আগে বার করে ফেলতে হবে।

    বড়ি দিয়ে গর্ভপাত করার সময় আপনি স্বাভাবিকভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। Mifepristone এবং misoprostol বুকের দুধে প্রবেশ করতে পারে, তবে এর পরিমাণ কম এবং এটি শিশুর মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। আপনি যদি এখনও এটি সম্পর্কে নার্ভাস থাকেন, আপনি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন, মিসোপ্রোস্টল বড়ি খেতে পারেন এবং আবার স্তন্যপান করানোর আগে 4 ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারেন। আপনার যদি অন্য রাউন্ডের মিসোপ্রোস্টল বড়ি খাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে বড়ি নেওয়ার আগে আবার বুকের দুধ খাওয়ান। যাইহোক, এটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক এবং আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে।

    যদি আপনার এইচআইভি(HIV) থাকে তাহলে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার শরীর স্থিতিশীল আছে, আপনার ওই রোগের ওষুধ চলছে এবং অন্যান্য দিক থেকে আপনার স্বাস্থ্য ভালো আছে।

    আপনার রক্তাল্পতা (রক্তে লৌহকণিকা কম থাকা) থাকলে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোঁজ নিয়ে রাখুন যেখানে যেতে ৩০মিনিটের বেশী সময় লাগবে না যারা দরকার হলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

    না, যদি আগে আপনার সিজারিয়ান হয়েও থাকে তাহলেও গর্ভাবস্থার গোড়ার দিকে গর্ভপাতের বড়ির ব্যবহার নিরাপদ।

    মাইফপ্রিস্টোন এবং জন্মকালীন খুঁত-এর সঙ্গে কোনো যোগ পাওয়া যায় নি। যাই হোক, মাইসোপ্রোস্টোল -এর ক্ষেত্রে জন্মকালীন খুঁত-এর হার সামান্য বেশি। মাইসোপ্রোস্টোল-এর নেওয়ার পরেও গর্ভাবস্থা জারি থাকলে আপনার স্বতস্ফূর্ত মিস্‌ক্যারেজ হয়ে যেতে পারে। যদি আপনার স্বতস্ফূর্ত মিস্‌ক্যারেজ না হয় এবং পুরো সময় গর্ভাবস্থা বহন করে থাকেন, তাহলে শিশুর জন্মকালীন খুঁত-এর ঝুঁকি ১% বেড়ে যায়(১০০ জন শিশুর মধ্যে একজন শিশু)।

    না, যদি আপনি জেনে থাকেন যে আপনার এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি-র ঝুঁকি থাকে তাহলে আপনার পক্ষে গর্ভপাতের বড়ি নেওয়া সুরক্ষিত নয়। কারণ আপনার একবার টিউবাল লাইগেশন বা নল বন্ধ করে বন্ধ্যাকরণ হয়েছিল। সম্ভবত আপনার আগের বার এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি হয়েছিল বলে এটা করতে হয়েছিল। ফেলোপিয়ান টিউব-এ স্ত্রী ডিম্বাণু নিষিক্ত হয় পুরুষ শুক্রাণু-র সঙ্গে। গর্ভ বৃদ্ধি শুরু হয় এবং টিউব-এর মধ্যে দিয়ে সেটা জরায়ুর দিকে এগোতে থাকে। যদি আপনার টিউব-এ যদি কোনো খুঁত থাকে, প্রাথমিক গর্ভাবস্থা টিউব-এর মধ্যে আটকে যেতে পারে। যেহেতু গর্ভের বৃদ্ধি ঘটতে থাকে, এর ফলে টিউব ভেঙে সেটা বেরিয়ে আসতে পারে। যদি টিউব ভেঙে বেরিয়ে আসে, তাহলে আপনার শরীরের ভেতরে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে যেটা কিনা জীবন সংশয় করে তোলে। আপনি পুনরায় এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি-র ঝুঁকিময় অবস্থায় চলে যেতে পারেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আপনাকে নিশ্চিতভাবে বলেন যে আপনার গর্ভ জরায়ুর ভেতরে আছে ততক্ষ্ণ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে আপনার গর্ভপাতের বড়ি নেওয়া উচিত নয়।

    প্রথমত, আপনা জানতে হবে যে বেশির ভাগ মহিলাই নিজেদের এই অবস্থা বুঝতে পারেন না যতক্ষণ না তাঁদের আল্‌ট্রা সাউন্ড করানো হচ্ছে। এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি কখনো টিকে থাকে না শেষ পর্যন্ত। তাই মহিলারা যদি তাঁদের দেশে গর্ভপাত করানো আইনসম্মত না-ও হয়ে থাকে তাহলেও আইনি পদ্ধতির সহায়তা পেতে পারেন গর্ভ নিষ্কাশনের জন্যে।

    ট্রান্স পুরুষ বা নন-বাইনারি ব্যক্তি হিসেবে বড়ি ব্যবহার করে গর্ভপাত করাটা নিরাপদ। আপনি যদি ম্যাসকুলিনাইজিং হরমোন গ্রহণ করেন তবে এটি মিসোপ্রোস্টল বা মিফেপ্রিস্টোন এর সাথে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আপনি যদি টেস্টোস্টেরন (T) এবং / অথবা গোনাডোট্রোফিন রিলিজিং হরমোন (GnRH) অ্যানালগ ব্যবহার করে থাকেন তবে তখনও এই গর্ভপাতের বড়িগুলি নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। যাইহোক, আপনি শুদ্ধ গর্ভপাতের যত্ন খুঁজে পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার দেশের গর্ভপাতের যত্ন সম্পর্কে আরও জানুন।

বিভিন্ন রকমের গর্ভপাতের বড়ি এবং সেগুলির ব্যবহার

    না, একই সংখ্যক বড়ি নিতে হবে যা আমরা সকলকে সুপারিশ করে থাকি। গবেষণায় দেখা গেছে যে ওষুধের দ্বারা সাফল্য বেশি ভারী ওজনের বা বড়োসড়ো মহিলার ক্ষেত্রে কমে যায় না। আপনার অন্য ডোজ্‌ বা বেশি সংখ্যক বড়ি নেওয়ার দরকার নেই।

    আপনাকে ডোজ্‌ বা বড়ির সংখ্যা বদলানোর দরকার দরকার নেই যদি দেখেন যে আপনার গর্ভে যমজ রয়েছে। একই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে গর্ভে যমজ থাকলেও।

    না, প্রত্যেক বারেই গর্ভধারণ এক আলাদা ঘটনা। যদি আপনি আগে কখনো গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করে থাকেন তাহলেও অবাঞ্ছিত গর্ভ নিষ্কাশনের জন্যে আপনাকে কোনো বেশী ডোজের ওষুধ নিতে হবে না।

    যদি আপনার জরায়ুতে কোনো ইন্ট্রাইউটেরিন গর্ভনিরোধক যন্ত্র থাকে(যেমন প্রোজেস্টেরোন আইইউডি পাত), তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেটি ডাক্তারি পদ্ধতিতে গর্ভপাতের আগে বার করে ফেলতে হবে।

    বড়ি দিয়ে গর্ভপাত করার সময় আপনি স্বাভাবিকভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। Mifepristone এবং misoprostol বুকের দুধে প্রবেশ করতে পারে, তবে এর পরিমাণ কম এবং এটি শিশুর মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। আপনি যদি এখনও এটি সম্পর্কে নার্ভাস থাকেন, আপনি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন, মিসোপ্রোস্টল বড়ি খেতে পারেন এবং আবার স্তন্যপান করানোর আগে 4 ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারেন। আপনার যদি অন্য রাউন্ডের মিসোপ্রোস্টল বড়ি খাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে বড়ি নেওয়ার আগে আবার বুকের দুধ খাওয়ান। যাইহোক, এটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক এবং আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে।

    যদি আপনার এইচআইভি(HIV) থাকে তাহলে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার শরীর স্থিতিশীল আছে, আপনার ওই রোগের ওষুধ চলছে এবং অন্যান্য দিক থেকে আপনার স্বাস্থ্য ভালো আছে।

    আপনার রক্তাল্পতা (রক্তে লৌহকণিকা কম থাকা) থাকলে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোঁজ নিয়ে রাখুন যেখানে যেতে ৩০মিনিটের বেশী সময় লাগবে না যারা দরকার হলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

    না, যদি আগে আপনার সিজারিয়ান হয়েও থাকে তাহলেও গর্ভাবস্থার গোড়ার দিকে গর্ভপাতের বড়ির ব্যবহার নিরাপদ।

    মাইফপ্রিস্টোন এবং জন্মকালীন খুঁত-এর সঙ্গে কোনো যোগ পাওয়া যায় নি। যাই হোক, মাইসোপ্রোস্টোল -এর ক্ষেত্রে জন্মকালীন খুঁত-এর হার সামান্য বেশি। মাইসোপ্রোস্টোল-এর নেওয়ার পরেও গর্ভাবস্থা জারি থাকলে আপনার স্বতস্ফূর্ত মিস্‌ক্যারেজ হয়ে যেতে পারে। যদি আপনার স্বতস্ফূর্ত মিস্‌ক্যারেজ না হয় এবং পুরো সময় গর্ভাবস্থা বহন করে থাকেন, তাহলে শিশুর জন্মকালীন খুঁত-এর ঝুঁকি ১% বেড়ে যায়(১০০ জন শিশুর মধ্যে একজন শিশু)।

    না, যদি আপনি জেনে থাকেন যে আপনার এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি-র ঝুঁকি থাকে তাহলে আপনার পক্ষে গর্ভপাতের বড়ি নেওয়া সুরক্ষিত নয়। কারণ আপনার একবার টিউবাল লাইগেশন বা নল বন্ধ করে বন্ধ্যাকরণ হয়েছিল। সম্ভবত আপনার আগের বার এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি হয়েছিল বলে এটা করতে হয়েছিল। ফেলোপিয়ান টিউব-এ স্ত্রী ডিম্বাণু নিষিক্ত হয় পুরুষ শুক্রাণু-র সঙ্গে। গর্ভ বৃদ্ধি শুরু হয় এবং টিউব-এর মধ্যে দিয়ে সেটা জরায়ুর দিকে এগোতে থাকে। যদি আপনার টিউব-এ যদি কোনো খুঁত থাকে, প্রাথমিক গর্ভাবস্থা টিউব-এর মধ্যে আটকে যেতে পারে। যেহেতু গর্ভের বৃদ্ধি ঘটতে থাকে, এর ফলে টিউব ভেঙে সেটা বেরিয়ে আসতে পারে। যদি টিউব ভেঙে বেরিয়ে আসে, তাহলে আপনার শরীরের ভেতরে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে যেটা কিনা জীবন সংশয় করে তোলে। আপনি পুনরায় এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি-র ঝুঁকিময় অবস্থায় চলে যেতে পারেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আপনাকে নিশ্চিতভাবে বলেন যে আপনার গর্ভ জরায়ুর ভেতরে আছে ততক্ষ্ণ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে আপনার গর্ভপাতের বড়ি নেওয়া উচিত নয়।

    প্রথমত, আপনা জানতে হবে যে বেশির ভাগ মহিলাই নিজেদের এই অবস্থা বুঝতে পারেন না যতক্ষণ না তাঁদের আল্‌ট্রা সাউন্ড করানো হচ্ছে। এক্টোপিক প্রেগ্‌ন্যান্সি কখনো টিকে থাকে না শেষ পর্যন্ত। তাই মহিলারা যদি তাঁদের দেশে গর্ভপাত করানো আইনসম্মত না-ও হয়ে থাকে তাহলেও আইনি পদ্ধতির সহায়তা পেতে পারেন গর্ভ নিষ্কাশনের জন্যে।

    ট্রান্স পুরুষ বা নন-বাইনারি ব্যক্তি হিসেবে বড়ি ব্যবহার করে গর্ভপাত করাটা নিরাপদ। আপনি যদি ম্যাসকুলিনাইজিং হরমোন গ্রহণ করেন তবে এটি মিসোপ্রোস্টল বা মিফেপ্রিস্টোন এর সাথে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আপনি যদি টেস্টোস্টেরন (T) এবং / অথবা গোনাডোট্রোফিন রিলিজিং হরমোন (GnRH) অ্যানালগ ব্যবহার করে থাকেন তবে তখনও এই গর্ভপাতের বড়িগুলি নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। যাইহোক, আপনি শুদ্ধ গর্ভপাতের যত্ন খুঁজে পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার দেশের গর্ভপাতের যত্ন সম্পর্কে আরও জানুন।

কারা গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করতে পারেন?

    গবেষণায় দেখা গেছে, আপনার শেষ ঋতুস্রাব হওয়ার পর 13 সপ্তাহ হওয়ার আগে গর্ভধারণের জন্য প্রায়শই মেডিকেল গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও HowToUseAbortionPill প্রোটোকলটি 13 সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভাবস্থার জন্যও তৈরি করা হয়েছে। গর্ভপাতের বড়িগুলি গর্ভাবস্থায় পরে ব্যবহার করা যেতে পারে তবে সুরক্ষার জন্য ভিন্ন প্রোটোকল এবং বিবেচনা করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, আপনি www.womenonweb.org এ আমাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা আমাদের দেশের প্রোফাইলে গিয়ে আপনার দেশে গর্ভপাতের সংস্থান সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।

    সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে বড়ি দিয়ে গর্ভপাত করানোটা অত্যন্ত নিরাপদ এবং কার্যকর। মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসোপ্রোস্টল দিয়ে গর্ভপাত করা হলে তা 95% এরও বেশি সময় সফলভাবে কাজ করে এবং জটিলতার সম্ভাবনা 10 সপ্তাহের গর্ভাবস্থা পর্যন্ত 1% এর কম থাকে এবং 10 থেকে 13 সপ্তাহের গর্ভাবস্থার মধ্যে 3% এর মতো থাকে। শুধুমাত্র মিসোপ্রোস্টল ব্যবহার করা হলে গর্ভপাতের সাফল্যের হার 80-85% থাকে এবং 13 সপ্তাহের গর্ভাবস্থা পর্যন্ত 1-4% জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার কাছে সঠিক তথ্য এবং গুণমান-নিশ্চিত ওষুধ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজে বড়ি দিয়ে নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে বাড়িতে গর্ভপাত করাতে পারেন।

    দু ধরনের গর্ভপাতের বড়ি আছে এবং প্রত্যেকটির কাজ করবার একটি আলাদা ধরন আছে। মাইফপ্রিস্টোন আটকে দেয় গর্ভ বৃদ্ধির হরমোন, আর মাইসোপ্রোস্টোল-এর উপাদানগুলি জরায়ুমুখ(জরায়ুর সামনের দিক)খুলে দেওয়া এবং শিথিল করে দেওয়ার কাজ করে যার ফলে জরায়ু সঙ্কুচিত হয় এবং গর্ভে বাইরের দিকে ধাক্কা দেয়।

    মাইসোপ্রোস্টোল জরায়ু সঙ্কুচিত করে গর্ভ নিষ্কাশিত করে।

    মাইফপ্রিস্টোন আটকে দেয় গর্ভ বৃদ্ধির হরমোন।

    হ্যাঁ, আপনি বাড়িতে নিরাপদে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করতে পারেন। যখন আপনি মাইসোপ্রোস্টোল বড়ি ব্যবহার করছেন তখন দেখে নেবেন যে আপনি যেখানে আছেন সেখানে(যেমন আপনার বাড়ি) আপনার গোপনীয়তা আছে কিনা এবং বড়ি নেওয়ার পরে আপনি কয়েক ঘন্টা শুতে পারবেন কিনা। দেখাশোনা করার জন্যে কাউকে যদি পান যে আপনাকে গরম চা বা অন্য কিছু খাবার জিনিস এনে দিতে পারে তাহলে খুব ভালো হয়।

    মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার পরে ৩০ মিনিট কিচ্ছু খাবেন না বা পান করবেন না। এইসময়ে মাইসোপ্রোস্টোল গলতে থাকে। ৩০ মিনিট পরে আপনি পানির সাহায্যে বড়ির পড়ে থাকা অংশ গিলে নিতে পারেন এবং যতখানি দরকার ততখানি পানিই খেতে পারেন।

    হ্যাঁ, আপনি মাইফ্প্রিস্টোন নেওয়ার পরে পানি দিয়ে গিলে নিতে পারেন।

    দুরকমের রাস্তা আছে মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার, জিভের নীচে বা যোনিতে। হাউ টু ইউজ্‌ পরামর্শ দেয় যে আপনার কেবল জিভের নীচে মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়া উচিত কারণ এটা বেশি গোপনীয়তা রক্ষা করে(বড়ি তাড়াতাড়ি গলে যায় এবং শরীরে তার কোনো চিহ্ন চোখে পড়ে না এবং সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম থাকে।

    মাইসোপ্রোস্টোল এবং মাইফপ্রিস্টোন একত্রে এই দুটি বড়ি এবং কেবল মাইসোপ্রোস্টোল দুইয়েরই কার্যকরী ভূমিকা আছে। যাই হোক, যদি আপনার পক্ষে যোগাড় করা এবং কেনা সম্ভব হয় তাহলে দুরকমের বড়ির ব্যবহার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।

    ১০০ জনের মধ্যে ৯৮জন মহিলার গর্ভপাত সম্পূর্ণ হয়ে থাকে যদি মাইসোপ্রোস্টোল+মাইফপ্রিস্টোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেবল মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করলে ১০০ জনের মধ্যে ৯৫জন মহিলার গর্ভপাত সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।

    মাইফপ্রিস্টোন এবং মাইসোপ্রোস্টোল একই সঙ্গে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেহেতু এরা একে অন্যের পরিপূরক। মাইসোপ্রোস্টোল-এ ব্যবহৃত ওষুধ জরায়ুমুখ শিথিল করে এবং খুলে দিয়ে জরায়ু সংকুচিত করে যা গর্ভকে বাইরের দিকে ঠেলে দেয়।

    যদি আপনি আপনার জিভের নীচে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করেন, কেউ বলতে পারবে না যে আপনি গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করেছেন যেহেতু ৩০মিনিট পরে আপনি পানির সাহায্যে সবকিছু গিলে নেবেন। যদি কেউ আপনাকে জিগ্যেস করেন, আপনি বলবেন আপনার এমনি এমনি বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। যদি আপনি যোনিদেশে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে বড়ির বাইরের পরতটা দু-একদিনের মধ্যে পুরোপুরি গলে যেতে না-ও পারে। যদি আপনি জরুরী ডাক্তারি সাহায্য চান যোনিদেশে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে, তাহলে স্বাস্থ্যকর্মীর চোখে পড়তে পারে আপনার যোনিতে বড়ির সাদা পরত, এই কারণে হাউ টু ইউজ্‌ জিভের নীচে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়, যোনিতে নয়।

    আপনার যদি NSAIDs (এবং আইবুপ্রোফেন) এ অ্যালার্জি থাকে তবে বিকল্প ব্যথার ওষুধ হিসাবে এসিটামিনোফেন (টাইলেনল / প্যারাসিটামল) ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি বেশিরভাগ দেশে ওভার-দ্য কাউন্টারে পাওয়া যায়। ব্যথার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি 4-6 ঘন্টা পর 2টি ট্যাবলেট (325 mg ট্যাবলেট) গ্রহণ করুন। 24 ঘন্টায় সর্বাধিক ডোজ হিসেবে 4000 mg নিতে পারেন।

কারা গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করতে পারেন?

    গবেষণায় দেখা গেছে, আপনার শেষ ঋতুস্রাব হওয়ার পর 13 সপ্তাহ হওয়ার আগে গর্ভধারণের জন্য প্রায়শই মেডিকেল গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও HowToUseAbortionPill প্রোটোকলটি 13 সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভাবস্থার জন্যও তৈরি করা হয়েছে। গর্ভপাতের বড়িগুলি গর্ভাবস্থায় পরে ব্যবহার করা যেতে পারে তবে সুরক্ষার জন্য ভিন্ন প্রোটোকল এবং বিবেচনা করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, আপনি www.womenonweb.org এ আমাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা আমাদের দেশের প্রোফাইলে গিয়ে আপনার দেশে গর্ভপাতের সংস্থান সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।

    সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে বড়ি দিয়ে গর্ভপাত করানোটা অত্যন্ত নিরাপদ এবং কার্যকর। মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসোপ্রোস্টল দিয়ে গর্ভপাত করা হলে তা 95% এরও বেশি সময় সফলভাবে কাজ করে এবং জটিলতার সম্ভাবনা 10 সপ্তাহের গর্ভাবস্থা পর্যন্ত 1% এর কম থাকে এবং 10 থেকে 13 সপ্তাহের গর্ভাবস্থার মধ্যে 3% এর মতো থাকে। শুধুমাত্র মিসোপ্রোস্টল ব্যবহার করা হলে গর্ভপাতের সাফল্যের হার 80-85% থাকে এবং 13 সপ্তাহের গর্ভাবস্থা পর্যন্ত 1-4% জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার কাছে সঠিক তথ্য এবং গুণমান-নিশ্চিত ওষুধ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজে বড়ি দিয়ে নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে বাড়িতে গর্ভপাত করাতে পারেন।

    দু ধরনের গর্ভপাতের বড়ি আছে এবং প্রত্যেকটির কাজ করবার একটি আলাদা ধরন আছে। মাইফপ্রিস্টোন আটকে দেয় গর্ভ বৃদ্ধির হরমোন, আর মাইসোপ্রোস্টোল-এর উপাদানগুলি জরায়ুমুখ(জরায়ুর সামনের দিক)খুলে দেওয়া এবং শিথিল করে দেওয়ার কাজ করে যার ফলে জরায়ু সঙ্কুচিত হয় এবং গর্ভে বাইরের দিকে ধাক্কা দেয়।

    মাইসোপ্রোস্টোল জরায়ু সঙ্কুচিত করে গর্ভ নিষ্কাশিত করে।

    মাইফপ্রিস্টোন আটকে দেয় গর্ভ বৃদ্ধির হরমোন।

    হ্যাঁ, আপনি বাড়িতে নিরাপদে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করতে পারেন। যখন আপনি মাইসোপ্রোস্টোল বড়ি ব্যবহার করছেন তখন দেখে নেবেন যে আপনি যেখানে আছেন সেখানে(যেমন আপনার বাড়ি) আপনার গোপনীয়তা আছে কিনা এবং বড়ি নেওয়ার পরে আপনি কয়েক ঘন্টা শুতে পারবেন কিনা। দেখাশোনা করার জন্যে কাউকে যদি পান যে আপনাকে গরম চা বা অন্য কিছু খাবার জিনিস এনে দিতে পারে তাহলে খুব ভালো হয়।

    মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার পরে ৩০ মিনিট কিচ্ছু খাবেন না বা পান করবেন না। এইসময়ে মাইসোপ্রোস্টোল গলতে থাকে। ৩০ মিনিট পরে আপনি পানির সাহায্যে বড়ির পড়ে থাকা অংশ গিলে নিতে পারেন এবং যতখানি দরকার ততখানি পানিই খেতে পারেন।

    হ্যাঁ, আপনি মাইফ্প্রিস্টোন নেওয়ার পরে পানি দিয়ে গিলে নিতে পারেন।

    দুরকমের রাস্তা আছে মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার, জিভের নীচে বা যোনিতে। হাউ টু ইউজ্‌ পরামর্শ দেয় যে আপনার কেবল জিভের নীচে মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়া উচিত কারণ এটা বেশি গোপনীয়তা রক্ষা করে(বড়ি তাড়াতাড়ি গলে যায় এবং শরীরে তার কোনো চিহ্ন চোখে পড়ে না এবং সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম থাকে।

    মাইসোপ্রোস্টোল এবং মাইফপ্রিস্টোন একত্রে এই দুটি বড়ি এবং কেবল মাইসোপ্রোস্টোল দুইয়েরই কার্যকরী ভূমিকা আছে। যাই হোক, যদি আপনার পক্ষে যোগাড় করা এবং কেনা সম্ভব হয় তাহলে দুরকমের বড়ির ব্যবহার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।

    ১০০ জনের মধ্যে ৯৮জন মহিলার গর্ভপাত সম্পূর্ণ হয়ে থাকে যদি মাইসোপ্রোস্টোল+মাইফপ্রিস্টোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেবল মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করলে ১০০ জনের মধ্যে ৯৫জন মহিলার গর্ভপাত সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।

    মাইফপ্রিস্টোন এবং মাইসোপ্রোস্টোল একই সঙ্গে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেহেতু এরা একে অন্যের পরিপূরক। মাইসোপ্রোস্টোল-এ ব্যবহৃত ওষুধ জরায়ুমুখ শিথিল করে এবং খুলে দিয়ে জরায়ু সংকুচিত করে যা গর্ভকে বাইরের দিকে ঠেলে দেয়।

    যদি আপনি আপনার জিভের নীচে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করেন, কেউ বলতে পারবে না যে আপনি গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করেছেন যেহেতু ৩০মিনিট পরে আপনি পানির সাহায্যে সবকিছু গিলে নেবেন। যদি কেউ আপনাকে জিগ্যেস করেন, আপনি বলবেন আপনার এমনি এমনি বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। যদি আপনি যোনিদেশে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে বড়ির বাইরের পরতটা দু-একদিনের মধ্যে পুরোপুরি গলে যেতে না-ও পারে। যদি আপনি জরুরী ডাক্তারি সাহায্য চান যোনিদেশে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে, তাহলে স্বাস্থ্যকর্মীর চোখে পড়তে পারে আপনার যোনিতে বড়ির সাদা পরত, এই কারণে হাউ টু ইউজ্‌ জিভের নীচে মাইসোপ্রোস্টোল ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়, যোনিতে নয়।

    আপনার যদি NSAIDs (এবং আইবুপ্রোফেন) এ অ্যালার্জি থাকে তবে বিকল্প ব্যথার ওষুধ হিসাবে এসিটামিনোফেন (টাইলেনল / প্যারাসিটামল) ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি বেশিরভাগ দেশে ওভার-দ্য কাউন্টারে পাওয়া যায়। ব্যথার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি 4-6 ঘন্টা পর 2টি ট্যাবলেট (325 mg ট্যাবলেট) গ্রহণ করুন। 24 ঘন্টায় সর্বাধিক ডোজ হিসেবে 4000 mg নিতে পারেন।

গর্ভপাতের বড়ি এবং তার প্রতিক্রিয়া

    আপনি যদি 12 সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার HowToUseAbortionPill প্রোটোকল অনুসরণ করে বাড়িতে গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করাটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত; আপনার যদি মিফেপ্রিস্টোন বা মিসোপ্রোস্টলে অ্যালার্জি থাকে; আপনার যদি রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা সহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে; অথবা আপনি যদি বিশ্বাস করেন বা জানেন যে গর্ভাবস্থা গর্ভের বাইরে বিকশিত হচ্ছে (অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থা)।

     

     

গর্ভপাতের বড়ি এবং তার প্রতিক্রিয়া

    আপনি যদি 12 সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার HowToUseAbortionPill প্রোটোকল অনুসরণ করে বাড়িতে গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহার করাটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত; আপনার যদি মিফেপ্রিস্টোন বা মিসোপ্রোস্টলে অ্যালার্জি থাকে; আপনার যদি রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা সহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে; অথবা আপনি যদি বিশ্বাস করেন বা জানেন যে গর্ভাবস্থা গর্ভের বাইরে বিকশিত হচ্ছে (অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থা)।

     

     

গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলি এবং জটিলতা

    প্রত্যেক গর্ভপাতের অভিজ্ঞতাই একটি অন্যটি থেকে আলাদা। আপনি স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের চেয়ে বেশি ব্যাথা এবং রক্তপাত অনুভব করতে পারেন (যদি আপনি মাসিকের সময় ব্যাথা অনুভব করে থাকেন)। তবে যদি আপনার ব্যাথা হালকা হয় এবং আপনার রক্তপাত স্বাভাবিক মাসিকের মতো হয় তবে এটিকেও স্বাভাবিক বলে গণ্য করা যাবে। অন্যান্য সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, জ্বর এবং মাথাব্যথা। যাইহোক, 24 ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে আপনার সুস্থ বোধ করা উচিত। আপনি যদি অসুস্থ বোধ করা শুরু করেন তবে আপনার মেডিকেল সহায়তা গ্রহণ করা উচিত।

    কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে পেশীর খিঁচুনি খুব বেশি-অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক আপনার মাসিক-এর সময়ের পেশীর খিঁচুনি থেকে (যদি আপনার মাসিক-এর সময়ে পেশীর খিঁচুনি হয়ে থাকে) এবন গ রক্তক্ষরণও মাসিক-এর থেকে অনেক বেশি। মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার পরে প্রথম কয়েক ঘন্টায় আপনার শরীর থেকে পাতিলেবুর সাইজের রক্তের ডেলা বেরোতে থাকতে পারে। অন্যান্য মহিলার ক্ষেত্রে পেশির খিঁচুনি কম এবং রক্তক্ষরণও সাধারণ মাসিক-এর মতোই।

    যদি আপনার রক্তক্ষরণ না হয় বা খুব কম রক্তক্ষরণ হয় এবং খুব বেশি যন্ত্রণা(বিশেষ করে বাঁদিকের কাঁধে) হতে থাকে যা আইবুপ্রফেন-এও কমছে না তাহলে ডাক্তারি সাহায্য চান। এটা এক্টোপিক প্রেগ্ন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে (জরায়ুর বাইরে গর্ভ)। এটা বিরল হলেও জীবনসংশয় করে তোলে। যদি আপনার চিন্তা থাকে যে গর্ভপাত সফল হয় নি তাহলে আপনি আমাদের www.safe2choose.org – এ সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো প্রশিক্ষিত পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন ।

    যদি প্রতি দু ঘন্টায় আপনার দুটি রেগুলার প্যাড পুরোপুরি ভিজে যায় আপনার গর্ভ নিষ্কাশনের পরে, তাহলে ডাক্তারি সাহায্য চান। পুরোপুরি ভিজে যাওয়ার অর্থ প্যাড রক্তে সম্পূর্ণ ভেজা–সামনে এবং পাছনে, এপাশ থেকে ওপাশ এবং এদিক থেকে ওদিক।

    আপনি ৩-৪টি (২০০ মি গ্রা) বড়ি নিতে পারেন প্রতি ৬-৮ ঘন্টা অন্তর যন্ত্রণা উপশমের জন্যে। মনে রাখবেন যে আপনি মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার আগেও আপনি আইবুপ্রফেন নিতে পারেন।

    মাইসোপ্রোস্টোল গলে যাওয়ার পরে আপনি ইচ্ছেমতো খেতে পারেন। শুকনো খাবার(যেমন কুড়মুড়ে বিস্কুট বা টোস্ট) আপনার বমি বমি ভাব কাটাতে সাহায্য করতে পারে, আর সবুজ শাকসবজি, ডিম, এবং ছাগল ইত্যাদির মাংস খেলে গর্ভপাতের সময়ে যেসব খনিজ আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে গেছে সে ক্ষতি পূরিত হবে।

    মাইসোপ্রোস্টোল গলে যাওয়ার পরে আপনি যে-কোনো পানীয় নিতে পারেন(অ্যালকোহল ছাড়া) ।

    চিকিৎসা চলাকালীন ওষুধের কার্যকারিতায় যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে তার জন্যে অ্যালকোহল না নেওয়া উচিত। অ্যালকোহল কখনো কখনো জরায়ুর রক্তক্ষরণ বাড়াতে পারে, যন্ত্রণা কমানো বা সংক্রামণ এড়ানো ইত্যাদির জন্যে নেওয়া অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দিতে পারে (যেসকল মহিলা জটিলতার মধ্যে রয়েছেন)। সাধারণত সুপারিশ করা হয় অ্যালকোহল না নিতে যতক্ষণ না আপনি নিশ্চিত করছেন যে গর্ভপাত সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আপনি ভালো আছেন।

    বেশির ভাগ মহিলা ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে গর্ভপাত হয়ে যায় এবং ২৪ ঘন্টার কম স ময়ের মধ্যে সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। পরের ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে আপনার মাসিক শুরু হওয়া পর্যন্ত হালকা রক্তক্ষরণ এবং একটু একটু দাগ চলতে থাকে সাধারণত।

    পেটের অসুখ, ডায়েরিয়া, জ্বর জ্বর ভাব হওয়া এই সময়ে স্বাভাবিক। বেশির ভাগ মহিলা জানিয়ে থাকেন যে তাঁরা বুঝেছেন যে তাঁদের গর্ভপাত ঘটেছে কারণ রক্তক্ষরণ কমে গিয়ে তাঁরা অনেকটা সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন।

    মেডিকেল গর্ভপাতে জটিলতা দেখা দেওয়াটা খুব বিরল। তবে আপনি যাতে জটিলতার সম্ভাব্য লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে পারেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ভারী রক্তপাত অনুভব করেন ( 2 ঘন্টা ধরে প্রতি ঘন্টা 2টি করে নিয়মিত প্যাড ভিজে যাওয়া), চরম ব্যথা হয় যা আইবুপ্রোফেন গ্রহণের পরেও ভাল হয় না বা মিসোপ্রোস্টল ব্যবহারের পরে যে কোনও দিন অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে তাহলে আপনার চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত।

    আপনার দেশে মেডিকেল গর্ভপাত করানো বা বাড়িতে গর্ভপাত করানো কি আইনত নিষিদ্ধ? আপনি যা বলবেন তা সাবধানতার সাথে বলা উচিত। মেডিকেল গর্ভপাতের মধ্যে স্বাভাবিক গর্ভপাতের মতো একই লক্ষণ রয়েছে (যা স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত হিসাবেও পরিচিত)। অতএব, আপনি “আমার রক্তপাত হচ্ছে, তবে এটিকে আমার স্বাভাবিক পিরিয়ডের মতো মনে হচ্ছে না” এর মতো কথা বলতে পারেন।

    গর্ভপাত সফল হয়েছে কিনা তা জানার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। গর্ভপাতের সময়, আপনি সনাক্ত করতে সক্ষম হতে পারেন যে আপনার গর্ভগ্রন্থি বেরিয়ে গেছে (এটি ছোট গাঢ় রঙের আঙ্গুর এবং পাতলা ঝিল্লির মতো দেখতে হতে পারে, বা একটি সাদা, তালগোল পাকানো স্তর দ্বারা বেষ্টিত একটি ছোট থলির মতো হতে পারে)। এটি একটি ইঙ্গিত যে গর্ভপাত সফল হয়েছিল। যাইহোক, গর্ভাগ্রন্থি সনাক্ত করা সর্বদা সম্ভব নাও হতে পারে। সফল গর্ভপাতের আরেকটি ইঙ্গিত হলো গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি আর অনুভব না করা, যেমন স্তনের কোমলতা এবং বমি বমি ভাব।

    বাড়িতে প্রস্রাবের মাধ্যমে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করে দেখা গর্ভপাতের সাফল্য নিশ্চিত করার আরেকটি উপায়। যাইহোক, সচেতন থাকুন যে আপনার দেহে হরমোনগুলো রয়ে যাওয়ার কারণে আপনার গর্ভপাত করানোর পরে 4 সপ্তাহ পর্যন্ত একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা ইতিবাচক আসতে পারে। একটি আল্ট্রাসাউন্ড কেবল তখনই প্রয়োজন যখন গর্ভাবস্থা সফলভাবে নির্মূল হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকে বা জটিলতার কোনও সন্দেহ থাকে (ভারী রক্তপাত বা সংক্রমণ)।

    বড়ি ব্যবহার করে গর্ভপাত করানো হলে আল্ট্রাসাউন্ড করানোর কোনও প্রয়োজন হয় না। আল্ট্রাসাউন্ড করানো কেবল তখনই প্রয়োজন যখন কোনও জটিলতার সন্দেহ দেখা দেয় (ভারী রক্তপাত বা সংক্রমণ) বা গর্ভাবস্থা নির্মূল হয়েছিল কিনা তা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে। বড়ি ব্যবহার করার পরে যদি আপনি গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি (স্তনের কোমলতা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ইত্যাদি) অনুভব করতে থাকেন তবে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আপনাকে একজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর সাথে পরামর্শ করতে হবে। যদি উপযুক্ত বলে মনে করা হয় তবে একটি সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ হলো আল্ট্রাসাউন্ড করে দেখা। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, আপনি www.womenonweb.org এ আমাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা আমাদের দেশের প্রোফাইলে গিয়ে নিজের দেশে গর্ভপাতের সংস্থান সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।

    কিছু মহিলার শল্য চিকিৎসার দরকার হতে পারে যদি বড়ি নেওয়ার পরেও তাদের গর্ভ নিষ্কাশিত না হয়। মনে রাখবেন অসম্পূর্ণ গর্ভপাতের জন্যে চিকিৎসা সারা পৃথিবীতে পাওয়া যায়। আপনার দেশে গর্ভপাত আইনত নিয়ন্ত্রিত হলেও এই পরিষেবা আপনি পেতে পারেন।

গর্ভপাতের বড়ি ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলি এবং জটিলতা

    প্রত্যেক গর্ভপাতের অভিজ্ঞতাই একটি অন্যটি থেকে আলাদা। আপনি স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের চেয়ে বেশি ব্যাথা এবং রক্তপাত অনুভব করতে পারেন (যদি আপনি মাসিকের সময় ব্যাথা অনুভব করে থাকেন)। তবে যদি আপনার ব্যাথা হালকা হয় এবং আপনার রক্তপাত স্বাভাবিক মাসিকের মতো হয় তবে এটিকেও স্বাভাবিক বলে গণ্য করা যাবে। অন্যান্য সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, জ্বর এবং মাথাব্যথা। যাইহোক, 24 ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে আপনার সুস্থ বোধ করা উচিত। আপনি যদি অসুস্থ বোধ করা শুরু করেন তবে আপনার মেডিকেল সহায়তা গ্রহণ করা উচিত।

    কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে পেশীর খিঁচুনি খুব বেশি-অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক আপনার মাসিক-এর সময়ের পেশীর খিঁচুনি থেকে (যদি আপনার মাসিক-এর সময়ে পেশীর খিঁচুনি হয়ে থাকে) এবন গ রক্তক্ষরণও মাসিক-এর থেকে অনেক বেশি। মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার পরে প্রথম কয়েক ঘন্টায় আপনার শরীর থেকে পাতিলেবুর সাইজের রক্তের ডেলা বেরোতে থাকতে পারে। অন্যান্য মহিলার ক্ষেত্রে পেশির খিঁচুনি কম এবং রক্তক্ষরণও সাধারণ মাসিক-এর মতোই।

    যদি আপনার রক্তক্ষরণ না হয় বা খুব কম রক্তক্ষরণ হয় এবং খুব বেশি যন্ত্রণা(বিশেষ করে বাঁদিকের কাঁধে) হতে থাকে যা আইবুপ্রফেন-এও কমছে না তাহলে ডাক্তারি সাহায্য চান। এটা এক্টোপিক প্রেগ্ন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে (জরায়ুর বাইরে গর্ভ)। এটা বিরল হলেও জীবনসংশয় করে তোলে। যদি আপনার চিন্তা থাকে যে গর্ভপাত সফল হয় নি তাহলে আপনি আমাদের www.safe2choose.org – এ সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো প্রশিক্ষিত পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন ।

    যদি প্রতি দু ঘন্টায় আপনার দুটি রেগুলার প্যাড পুরোপুরি ভিজে যায় আপনার গর্ভ নিষ্কাশনের পরে, তাহলে ডাক্তারি সাহায্য চান। পুরোপুরি ভিজে যাওয়ার অর্থ প্যাড রক্তে সম্পূর্ণ ভেজা–সামনে এবং পাছনে, এপাশ থেকে ওপাশ এবং এদিক থেকে ওদিক।

    আপনি ৩-৪টি (২০০ মি গ্রা) বড়ি নিতে পারেন প্রতি ৬-৮ ঘন্টা অন্তর যন্ত্রণা উপশমের জন্যে। মনে রাখবেন যে আপনি মাইসোপ্রোস্টোল নেওয়ার আগেও আপনি আইবুপ্রফেন নিতে পারেন।

    মাইসোপ্রোস্টোল গলে যাওয়ার পরে আপনি ইচ্ছেমতো খেতে পারেন। শুকনো খাবার(যেমন কুড়মুড়ে বিস্কুট বা টোস্ট) আপনার বমি বমি ভাব কাটাতে সাহায্য করতে পারে, আর সবুজ শাকসবজি, ডিম, এবং ছাগল ইত্যাদির মাংস খেলে গর্ভপাতের সময়ে যেসব খনিজ আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে গেছে সে ক্ষতি পূরিত হবে।

    মাইসোপ্রোস্টোল গলে যাওয়ার পরে আপনি যে-কোনো পানীয় নিতে পারেন(অ্যালকোহল ছাড়া) ।

    চিকিৎসা চলাকালীন ওষুধের কার্যকারিতায় যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে তার জন্যে অ্যালকোহল না নেওয়া উচিত। অ্যালকোহল কখনো কখনো জরায়ুর রক্তক্ষরণ বাড়াতে পারে, যন্ত্রণা কমানো বা সংক্রামণ এড়ানো ইত্যাদির জন্যে নেওয়া অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দিতে পারে (যেসকল মহিলা জটিলতার মধ্যে রয়েছেন)। সাধারণত সুপারিশ করা হয় অ্যালকোহল না নিতে যতক্ষণ না আপনি নিশ্চিত করছেন যে গর্ভপাত সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আপনি ভালো আছেন।

    বেশির ভাগ মহিলা ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে গর্ভপাত হয়ে যায় এবং ২৪ ঘন্টার কম স ময়ের মধ্যে সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। পরের ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে আপনার মাসিক শুরু হওয়া পর্যন্ত হালকা রক্তক্ষরণ এবং একটু একটু দাগ চলতে থাকে সাধারণত।

    পেটের অসুখ, ডায়েরিয়া, জ্বর জ্বর ভাব হওয়া এই সময়ে স্বাভাবিক। বেশির ভাগ মহিলা জানিয়ে থাকেন যে তাঁরা বুঝেছেন যে তাঁদের গর্ভপাত ঘটেছে কারণ রক্তক্ষরণ কমে গিয়ে তাঁরা অনেকটা সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন।

    মেডিকেল গর্ভপাতে জটিলতা দেখা দেওয়াটা খুব বিরল। তবে আপনি যাতে জটিলতার সম্ভাব্য লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে পারেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ভারী রক্তপাত অনুভব করেন ( 2 ঘন্টা ধরে প্রতি ঘন্টা 2টি করে নিয়মিত প্যাড ভিজে যাওয়া), চরম ব্যথা হয় যা আইবুপ্রোফেন গ্রহণের পরেও ভাল হয় না বা মিসোপ্রোস্টল ব্যবহারের পরে যে কোনও দিন অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে তাহলে আপনার চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত।

    আপনার দেশে মেডিকেল গর্ভপাত করানো বা বাড়িতে গর্ভপাত করানো কি আইনত নিষিদ্ধ? আপনি যা বলবেন তা সাবধানতার সাথে বলা উচিত। মেডিকেল গর্ভপাতের মধ্যে স্বাভাবিক গর্ভপাতের মতো একই লক্ষণ রয়েছে (যা স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত হিসাবেও পরিচিত)। অতএব, আপনি “আমার রক্তপাত হচ্ছে, তবে এটিকে আমার স্বাভাবিক পিরিয়ডের মতো মনে হচ্ছে না” এর মতো কথা বলতে পারেন।

    গর্ভপাত সফল হয়েছে কিনা তা জানার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। গর্ভপাতের সময়, আপনি সনাক্ত করতে সক্ষম হতে পারেন যে আপনার গর্ভগ্রন্থি বেরিয়ে গেছে (এটি ছোট গাঢ় রঙের আঙ্গুর এবং পাতলা ঝিল্লির মতো দেখতে হতে পারে, বা একটি সাদা, তালগোল পাকানো স্তর দ্বারা বেষ্টিত একটি ছোট থলির মতো হতে পারে)। এটি একটি ইঙ্গিত যে গর্ভপাত সফল হয়েছিল। যাইহোক, গর্ভাগ্রন্থি সনাক্ত করা সর্বদা সম্ভব নাও হতে পারে। সফল গর্ভপাতের আরেকটি ইঙ্গিত হলো গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি আর অনুভব না করা, যেমন স্তনের কোমলতা এবং বমি বমি ভাব।

    বাড়িতে প্রস্রাবের মাধ্যমে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করে দেখা গর্ভপাতের সাফল্য নিশ্চিত করার আরেকটি উপায়। যাইহোক, সচেতন থাকুন যে আপনার দেহে হরমোনগুলো রয়ে যাওয়ার কারণে আপনার গর্ভপাত করানোর পরে 4 সপ্তাহ পর্যন্ত একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা ইতিবাচক আসতে পারে। একটি আল্ট্রাসাউন্ড কেবল তখনই প্রয়োজন যখন গর্ভাবস্থা সফলভাবে নির্মূল হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকে বা জটিলতার কোনও সন্দেহ থাকে (ভারী রক্তপাত বা সংক্রমণ)।

    বড়ি ব্যবহার করে গর্ভপাত করানো হলে আল্ট্রাসাউন্ড করানোর কোনও প্রয়োজন হয় না। আল্ট্রাসাউন্ড করানো কেবল তখনই প্রয়োজন যখন কোনও জটিলতার সন্দেহ দেখা দেয় (ভারী রক্তপাত বা সংক্রমণ) বা গর্ভাবস্থা নির্মূল হয়েছিল কিনা তা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে। বড়ি ব্যবহার করার পরে যদি আপনি গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি (স্তনের কোমলতা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ইত্যাদি) অনুভব করতে থাকেন তবে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আপনাকে একজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর সাথে পরামর্শ করতে হবে। যদি উপযুক্ত বলে মনে করা হয় তবে একটি সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ হলো আল্ট্রাসাউন্ড করে দেখা। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, আপনি www.womenonweb.org এ আমাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা আমাদের দেশের প্রোফাইলে গিয়ে নিজের দেশে গর্ভপাতের সংস্থান সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন।

    কিছু মহিলার শল্য চিকিৎসার দরকার হতে পারে যদি বড়ি নেওয়ার পরেও তাদের গর্ভ নিষ্কাশিত না হয়। মনে রাখবেন অসম্পূর্ণ গর্ভপাতের জন্যে চিকিৎসা সারা পৃথিবীতে পাওয়া যায়। আপনার দেশে গর্ভপাত আইনত নিয়ন্ত্রিত হলেও এই পরিষেবা আপনি পেতে পারেন।

মেডিকেল গর্ভপাত এবং ভবিষ্যতের উর্বরতা

    আপনি ডাক্তারি পদ্ধতিতে গর্ভপাতের পরে মাত্র ৮ দিনের মধ্যেই আবার গর্ভবতী হয়ে পড়তে পারেন। যৌন মিলনের সময়ে অবাঞ্ছিত গর্ভ এড়াতে গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবুন।

    না, গর্ভপাতের বড়িগুলি ভবিষ্যতের গর্ভাবস্থায় জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করে না।

    না, গর্ভপাতের বড়ি নেওয়ার ফলে ভবিষ্যতে গর্ভবতী হওয়া কঠিন হবে না।

মেডিকেল গর্ভপাত এবং ভবিষ্যতের উর্বরতা

    আপনি ডাক্তারি পদ্ধতিতে গর্ভপাতের পরে মাত্র ৮ দিনের মধ্যেই আবার গর্ভবতী হয়ে পড়তে পারেন। যৌন মিলনের সময়ে অবাঞ্ছিত গর্ভ এড়াতে গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবুন।

    না, গর্ভপাতের বড়িগুলি ভবিষ্যতের গর্ভাবস্থায় জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করে না।

    না, গর্ভপাতের বড়ি নেওয়ার ফলে ভবিষ্যতে গর্ভবতী হওয়া কঠিন হবে না।

অন্যান্য গর্ভপাতের প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

    যদিও গর্ভপাত করানো সাধারণ একটি বিষয়, তবে আমাদের পক্ষে এটি নিয়ে কথা বলা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কারণ গর্ভপাতের ধারণাটি এখনও ভুল তথ্য, শ্রুতিকথা এবং কলঙ্ক দ্বারা ঘিরে রয়েছে। আপনি যখন গর্ভপাত সম্পর্কে কথা বলবেন তখন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সঠিক তথ্য ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, কলঙ্কজনক ভাষার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন এবং নিজের ভাষায় আরও বেশি শুদ্ধ হন – বিভিন্ন ধরণের মানুষ নিজের গর্ভপাত করান। যদিও এটি করা সর্বদা সহজ নাও হতে পারে, তবে তর্কাতর্কি শুরু করতে যাবেন না। পরিবর্তে, গর্ভপাতের সাথে মানুষের মনোভাব এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে সোজাসাপটা প্রশ্ন করুন।

    বড়ি দিয়ে গর্ভপাত করানোর জন্য আইনী অবস্থা আপনি কোথায় থাকেন তার উপর নির্ভর করে। কিছু দেশে, গর্ভপাত করানো গর্ভাবস্থার একটি নির্দিষ্ট সপ্তাহ পর্যন্ত বৈধ, অন্য কিছু দেশে গর্ভপাত নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বৈধ (উদাহরণস্বরূপ, ধর্ষণ বা গর্ভবতী ব্যক্তির জীবনের ঝুঁকি দেখা দিলে)। গর্ভপাতের বড়িগুলি প্রায়শই এমন দেশগুলিতে বৈধভাবে পাওয়া যায় যেখানে গর্ভপাত বৈধ, যদিও এগুলি সর্বদা স্বাস্থ্য সুবিধা সম্বলিত সংস্থার বাইরে ব্যবহার করা যায় না। এমন দেশও রয়েছে যেখানে গর্ভপাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিজ দেশে গর্ভপাত করানো সম্পর্কে আরও জানুন।

    গর্ভপাত নিয়ে প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ভিন্ন হয়। কেউ কেউ স্বস্তি এবং সুখ অনুভব করে, কিন্তু কেউ কেউ আবার দুঃখ অনুভব করে। সব আবেগই স্বাভাবিক। যাইহোক, দীর্ঘ সময় ধরে নেতিবাচক অনুভূতি থাকাটা বিরল। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে তা হলো অপমান এবং মানুষের অভিমতের মুখোমুখি হওয়া। মনে রাখবেন যে আপনি একা নন – গর্ভপাত করানো একটি সাধারণ ব্যাপার। বন্ধু, পরিবার বা স্থানীয় সংস্থা হতে প্রাপ্ত সমর্থন এতে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

    গর্ভপাতের দুটি সাধারণ পদ্ধতি আছেঃ 1) মেডিকেল গর্ভপাতঃ এই পদ্ধতিতে ফার্মাকলজিক্যাল ওষুধের সাহায্যে গর্ভ নিষ্কাশন করা হয়। কখনো কখনো এটিকে ‘নন সার্জিকাল আবর্শন’ বা ‘আবর্শন উইথ পিল্‌স্‌’-ও বলা হয়।
    2) সার্জিকাল আবর্শনঃ এই পদ্ধতিতে একজন শিক্ষিত পেশাদারী জরায়ুমুখ-এর মধ্যে দিয়ে জরায়ু-র ভেতরটি খালি করে গর্ভ নিষ্কাশন করে। এই পদ্ধতিতে ম্যানুয়াল ভ্যাকুয়াম্‌ অ্যাস্পিরেশন (এম ভি এ) এবং ডাইলেটেশন এবং ইভ্যাকুয়েশন(ডি &ই) করা হয়।

    গর্ভধারণ রোধ করার পদ্ধতি(গর্ভনিরোধক পদ্ধতি, জরুরী অবস্থাকালীন গর্ভনিরোধ)-এর সঙ্গে গর্ভপাতের পদ্ধতি গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। গর্ভনিরোধক পদ্ধতিতে ডিম্বস্ফোটন(ডিম্বাণুর স্ফোটন) আটকে দেয় বা ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলন বন্ধ করে দেয়। গর্ভনিরোধক পদ্ধতি এবং জরুরী অবস্থাকালীন গর্ভনিরোধ তৈরি হয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থা নষ্ট করার জন্যে বা তাতে বাধা দেওয়ার জন্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। গর্ভনিরোধক পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্যে আপনি www.findmymethod.org দেখতে পারেন

    অরক্ষিত যৌনমিলনের পরেএমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্‌টিভ্‌ পিল্‌স্‌(ইসিপি) হল নিরাপদ এবং কার্যকরী গর্ভনিরোধক। এগুলি ডিম্বস্ফোটন(ডিম্বাণুর স্ফোটন) আটকে দেয় বা ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলন বন্ধ করে দেয়। তৈরি হয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থা নষ্ট করার জন্যে বা তাতে বাধা দেওয়ার জন্যে এগুলি নয়। ডাক্তারি পদ্ধতিতে গর্ভপাতের ওষুধগুলি(যেগুলির মধ্যে মাইফপ্রিস্টোন এবং মাইসোপ্রোস্টোল-ও আছে)-র থেকে এগুলি আলাদা। এই দুই চিকিৎসাই সারা পৃথিবীতে মহিলাদের জননক্ষমতা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    অতিরিক্ত তথ্যাদির জন্যে আপনি আমাদের info@howtouseabortionpill.org – এ টীম এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

অন্যান্য গর্ভপাতের প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

    যদিও গর্ভপাত করানো সাধারণ একটি বিষয়, তবে আমাদের পক্ষে এটি নিয়ে কথা বলা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কারণ গর্ভপাতের ধারণাটি এখনও ভুল তথ্য, শ্রুতিকথা এবং কলঙ্ক দ্বারা ঘিরে রয়েছে। আপনি যখন গর্ভপাত সম্পর্কে কথা বলবেন তখন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সঠিক তথ্য ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, কলঙ্কজনক ভাষার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন এবং নিজের ভাষায় আরও বেশি শুদ্ধ হন – বিভিন্ন ধরণের মানুষ নিজের গর্ভপাত করান। যদিও এটি করা সর্বদা সহজ নাও হতে পারে, তবে তর্কাতর্কি শুরু করতে যাবেন না। পরিবর্তে, গর্ভপাতের সাথে মানুষের মনোভাব এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে সোজাসাপটা প্রশ্ন করুন।

    বড়ি দিয়ে গর্ভপাত করানোর জন্য আইনী অবস্থা আপনি কোথায় থাকেন তার উপর নির্ভর করে। কিছু দেশে, গর্ভপাত করানো গর্ভাবস্থার একটি নির্দিষ্ট সপ্তাহ পর্যন্ত বৈধ, অন্য কিছু দেশে গর্ভপাত নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বৈধ (উদাহরণস্বরূপ, ধর্ষণ বা গর্ভবতী ব্যক্তির জীবনের ঝুঁকি দেখা দিলে)। গর্ভপাতের বড়িগুলি প্রায়শই এমন দেশগুলিতে বৈধভাবে পাওয়া যায় যেখানে গর্ভপাত বৈধ, যদিও এগুলি সর্বদা স্বাস্থ্য সুবিধা সম্বলিত সংস্থার বাইরে ব্যবহার করা যায় না। এমন দেশও রয়েছে যেখানে গর্ভপাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিজ দেশে গর্ভপাত করানো সম্পর্কে আরও জানুন।

    গর্ভপাত নিয়ে প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ভিন্ন হয়। কেউ কেউ স্বস্তি এবং সুখ অনুভব করে, কিন্তু কেউ কেউ আবার দুঃখ অনুভব করে। সব আবেগই স্বাভাবিক। যাইহোক, দীর্ঘ সময় ধরে নেতিবাচক অনুভূতি থাকাটা বিরল। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে তা হলো অপমান এবং মানুষের অভিমতের মুখোমুখি হওয়া। মনে রাখবেন যে আপনি একা নন – গর্ভপাত করানো একটি সাধারণ ব্যাপার। বন্ধু, পরিবার বা স্থানীয় সংস্থা হতে প্রাপ্ত সমর্থন এতে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

    গর্ভপাতের দুটি সাধারণ পদ্ধতি আছেঃ 1) মেডিকেল গর্ভপাতঃ এই পদ্ধতিতে ফার্মাকলজিক্যাল ওষুধের সাহায্যে গর্ভ নিষ্কাশন করা হয়। কখনো কখনো এটিকে ‘নন সার্জিকাল আবর্শন’ বা ‘আবর্শন উইথ পিল্‌স্‌’-ও বলা হয়।
    2) সার্জিকাল আবর্শনঃ এই পদ্ধতিতে একজন শিক্ষিত পেশাদারী জরায়ুমুখ-এর মধ্যে দিয়ে জরায়ু-র ভেতরটি খালি করে গর্ভ নিষ্কাশন করে। এই পদ্ধতিতে ম্যানুয়াল ভ্যাকুয়াম্‌ অ্যাস্পিরেশন (এম ভি এ) এবং ডাইলেটেশন এবং ইভ্যাকুয়েশন(ডি &ই) করা হয়।

    গর্ভধারণ রোধ করার পদ্ধতি(গর্ভনিরোধক পদ্ধতি, জরুরী অবস্থাকালীন গর্ভনিরোধ)-এর সঙ্গে গর্ভপাতের পদ্ধতি গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। গর্ভনিরোধক পদ্ধতিতে ডিম্বস্ফোটন(ডিম্বাণুর স্ফোটন) আটকে দেয় বা ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলন বন্ধ করে দেয়। গর্ভনিরোধক পদ্ধতি এবং জরুরী অবস্থাকালীন গর্ভনিরোধ তৈরি হয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থা নষ্ট করার জন্যে বা তাতে বাধা দেওয়ার জন্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। গর্ভনিরোধক পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্যে আপনি www.findmymethod.org দেখতে পারেন

    অরক্ষিত যৌনমিলনের পরেএমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্‌টিভ্‌ পিল্‌স্‌(ইসিপি) হল নিরাপদ এবং কার্যকরী গর্ভনিরোধক। এগুলি ডিম্বস্ফোটন(ডিম্বাণুর স্ফোটন) আটকে দেয় বা ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলন বন্ধ করে দেয়। তৈরি হয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থা নষ্ট করার জন্যে বা তাতে বাধা দেওয়ার জন্যে এগুলি নয়। ডাক্তারি পদ্ধতিতে গর্ভপাতের ওষুধগুলি(যেগুলির মধ্যে মাইফপ্রিস্টোন এবং মাইসোপ্রোস্টোল-ও আছে)-র থেকে এগুলি আলাদা। এই দুই চিকিৎসাই সারা পৃথিবীতে মহিলাদের জননক্ষমতা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    অতিরিক্ত তথ্যাদির জন্যে আপনি আমাদের info@howtouseabortionpill.org – এ টীম এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

HowToUseAbortionPill.org একটি নিবন্ধিত US-ভিত্তিক 501c(3) অলাভজনক সংস্থার সাথে সভ্য রূপে অন্তর্ভুক্ত আছে৷
HowToUseAbortionPill.org তথ্য সম্পর্কিত উদ্দেশ্যে তৈরি কনটেন্ট সরবরাহ করে এবং এটি কোনও মেডিকেল সংস্থার সাথে সভ্য রূপে অন্তর্ভুক্ত নয়৷

Women First Digital দ্বারা পরিচালিত